বহুল আলোচিত স্ত্রী মিতু হ;;ত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গ্রে;প্তর করেছে। তদন্তে জানা গেছে, স্ত্রীকে হ;;ত্যা করতে খু;;নিদের সঙ্গে নিজেই চুক্তি করেছিলেন বাবুল আক্তার। গু;;লি করে হ;;ত্যার চুক্তি হলেও গু;;লির পরে কু;;পিয়ে র;;ক্তাক্ত করায় খু;;নিদের কাছে জবাবদি;;হিতাও চেয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে তিন লাখ টাকায় স্ত্রীকে হ;;ত্যার চুক্তি করেন বাবুল। চুক্তির কাজে বাবুল আকতারকে সহযোগিতা করেন পুলিশ সোর্স হিসেবে পরিচিত সাইফুল হক নামে চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি। আর চুক্তি বাস্তবায়ন করেন কামরুল শিকদার মূসা নামে এক ভাড়াটে খু;;নি।
তদন্তে বেড়িয়ে আসে, ২০১৩ সালে বাবুল আকতার কক্সবাজারের একটি এনজিও’র নারী কমকর্তার সঙ্গে প;রকী;য়ায় জড়িয়ে পড়েন। সে তথ্য তিন বছর পর স্ত্রী মিতুর নজরে আসে। আর এতে সৃষ্টি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাদানুবাদ। এরপরই তাকে হ;;ত্যার মিশনে নামেন বাবুল আকতার।
২০১৬ সালের ৫ জুন মাহমুদা খানম মিতুকে হ;;ত্যা করা হয়। সেসময় মি;তু হ;;ত্যায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আকতার একটি হ;;ত্যা মা;মলা দায়ে;র করেন। ওই মাম;লায় জ;ঙ্গি হা;ম;লার অভি;যোগ আনেন এবং তিনি কাউকে আ;সামি হিসেবে চিহ্নিত করেননি। মূলত তিনি একাধিক জ;ঙ্গিবিরো;ধী অভি;যান পরিচালনা করায় সহজে এই হ;;ত্যাকা;;ণ্ডকে জ;ঙ্গি হাম;লা বলে চালিয়ে দেন।
এই মা;মলা প্রথমে পাঁচলাইশ থানা এবং পরে চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে। কিন্তু প্রায় ৪ বছরের তদন্ত শেষেও কোনো ক্লু উদঘাটন না হওয়ায় মাম;লাটি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এরপরই মূলত স্বাক্ষী ও বাদীর দেয়া তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে একের পর ক্লু উদঘাটন শুরু হয়। এতে হ;;ত্যাকা;;ণ্ডে জড়িত মুসার সঙ্গে সাইফুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। আর সাইফুলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিলো বাবুল আকতারের। পিবিআই-এর কর্মকর্তারা কামরুল শিকাদর মুসা এবং সাইফুল হককে অনুসরণ করেই হ;;ত্যার মূল হোতা বাবু্ল আকতারের কাছে পৌঁছান।
এদিকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়ে গ্রে;;প্তার বাবুল আকতার এখন পুলিশ হেফাজতে। চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হ;;ত্যার দায়ে শ্বশুরের নতুন মাম;লায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুলের পাঁচ দিনের রিমা;ন্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার বাবুলকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে তোলার পর রিমা;ন্ড আবেদন করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমা;ন্ডের আদেশ দেন। বাবুলের আইনজীবী আনিসুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।